Sunday, August 17, 2014

Heaven is the only reward for Hajj accepted.

তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্ব ও ওমরাহ পূর্ণ কর। 

-(আল কুরআন)


Holy Makkah Sharif From Eagle Eye


কবুল হজ্বের একমাত্র প্রতিদান বেহেস্ত। 

-(বুখারী ও মুসলীম)


Holy Makkah Sharif From Eagle Eye




'talbiyah' mandatory for every Hajji

সম্মানিত হজ্ব যাত্রীগণ-

আসসালামুআলাইকুম,

আলহামদুলিল্লাহ্, সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর, যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন ও সুন্দর এই পৃথিবীতে অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। নিশ্চয়ই আমরা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট ঋণী। ইসলামের মূল পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ্ব অন্যতম একটি। শারীরিকভাবে সমর্থবান এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছল প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর উপর হজ্ব ফরজ করা হয়েছে। পৃথিবীর প্রাচীনতম এবাদতের স্থান এবং মুসলিমের মহামিলনের কেন্দ্রস্থল হলো পবিত্র কাবা শরীফ যেখানে একই সাথে মানসিক, শারীরিক এবং আর্থিক এবাদতের সমন্নয় ঘটে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “মকবুল হজ্বের একমাত্র প্রতিদান হলো জান্নাত”। হজ্ব একটি কঠিন এবাদত তাই হাজীগণ যেন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ্ব ব্রত পালন করে দোজাহানের অশেষ পূণ্য হাসিল করতে পারেন সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।



লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক,
লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইক,
ইন্নাল হামদা ওয়ান্-নি’মাতা লাকাওয়ালা মূলক
লা-শারীকা লাক্।


Talbiyah

Preface about Hajj

ভূমিকা

‘হজ্ব’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা অর্থাত এর পারিভাষিক অর্থ, আল্লাহ তাআলা’র সন্তুষ্টি অর্জনে শরিয়তের নিয়মানুসারে নির্ধারিত সময়ে কাবা শরীফ ও সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ জিয়ারত করা। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ যথা- কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ্ব এবং যাকাত, সুতরাং হজ্ব একটি ফরজ এবাদত।
প্রতি বছর বিশ্বের প্রায় সকল দেশের বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রার মুসল্লীরা পবিত্র হজ্ব ব্রত পালনের উদ্দেশ্যে আরব দেশে গমন করেন। ভাষার ভিন্নতা, নতুন স্থান, নতুন পরিস্থিতি তথা বিবিধ কারনে হাজীগণ নানা সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে, তাই সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ্ব পালনের জন্য দরকার যথাযথ প্রস্তুতি ও জানাশোনা। হজ্ব পালন সম্পর্কে একটি সহজ ও সংক্ষিপ্ত ধারনা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই আয়োজন। এছারাও  খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আরো ভালোভাবে জেনে নেয়ার জন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তি ও আলেমদের সহায়তাও নিতে পারেন হজ্বযাত্রীরা। আর সুষ্ঠু ও সফলভবে হজ্ব পালনে আমাদের এই আয়োজন যদি আপনাদের সমান্যতমও সহায়ক হয়, তবেই আমাদের এই প্রচেষ্টা সর্থক বলে ধরে নেব। সকল হজ্ব যাত্রীর জন্য রইল আমাদের শুভকামনা।

Jeddah to Mecca

Those who are going for Hajj

হজ বিশুদ্ধ হওয়ার শর্তসমূহ

হজের আভিধানিক অর্থ হলো মক্কা শরিফের ইচ্ছা করা 

শরিয়তে এর অর্থ নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট স্থানের জিয়ারত করা (আততা'রিফাত : /২৬)
হজ ফরজ হওয়ার ব্যাপারে পুরো উম্মত একমত  ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই এর ফজিলত বিষয়ে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন : 'আর  ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্যযে লোকের সামর্থ্য রয়েছে  পর্যন্ত পেঁৗছার আর যে লোক তা মানে নাআল্লাহ সারা বিশ্বের কোনো কিছুরই পরোয়া করেন না' (আলে ইমরান : ৯৭)

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন : 'যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ আদায় করে এবং সেখানে যাবতীয় মন্দ কাজ  কথা থেকে বিরত থাকেসে সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের মতো গুনাহমুক্ত হয়ে ফিরবে' (বুখারি : ১৪২৪)


হজের শর্ত : নিম্নোলি্লখিত শর্তগুলো পাওয়া গেলে প্রত্যেক নর-নারীর ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজমুসলমান হওয়া অমুসলিমের ওপর হজ ফরজ নয় (বুখারি : ৩৫৬)
বালেগ হওয়া নাবালেগের ওপর হজ ফরজ নয় (বুখারি : ১৬/৩১৫বায়হাকি : ১০১৩৩)
বোধসম্পন্ন হওয়া নির্বোধ পাগলের ওপর হজ ফরজ নয় (বুখারি : ১৬/৩১৫)
আজাদ বা স্বাধীন হওয়া গোলামের ওপর হজ ফরজ নয় (আলে ইমরান : ৯৭বায়হাকি : ১০১৩৩)
সামর্থ্যবান হওয়া সামর্থ্যবান হওয়ার অর্থ হলোনিজের অনুপস্থিতিতে পরিবারের যাবতীয় ব্যয় নির্বাহের ব্যবস্থা এবং যাতায়াত  পাথেয়র মালিক হওয়া (তিরমিজি : ৭৪১

যদি নিজ খরচে যাওয়ার মতো মাহরাম না থাকে তাহলে নারীদের ক্ষেত্রে নিজের এবং একজন মাহরামের হজে যাওয়া-আসা  থাকা-খাওয়ার যাবতীয় খরচ বহনে সামর্থ্যবান হতে হবেহজের সময়ের আগমন

হজ আদায় ওয়াজিব হওয়ার শর্ত : কোনো ব্যক্তির ওপর হজ ফরজ হওয়ার পর নিজে হজ আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য যেসব শর্ত রয়েছে তা পাওয়া না গেলে নিজে হজ করা ওয়াজিব হবে না বরং অন্য কোনো ব্যক্তি দ্বারা তৎক্ষণাৎ বদলি হজ করাতে হবে অথবা বদলি হজ করানোর জন্য অসিয়ত করতে হবে আর নিজে হজ আদায় করা ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো :

শারীরিকভাবে হজ করতে সক্ষম হওয়া (বায়হাকি : ৮৯২২)
হজে গমনে প্রতিবন্ধকতা না থাকা যেমন-কয়েদি বা পরাধীন ব্যক্তি (বায়হাকি : ৮৯২২)
রাস্তার নিরাপত্তা থাকা (সুনানে কুবরা : ৮৯২২)
নারী যুবতী হোক বা বৃদ্ধাতার সঙ্গে স্বামী বা অন্য কোনো মাহরাম থাকা (বুখারি : ১০২৪দারা কুতনি : ২৪৬৭)
মহিলা তালাক বা স্বামীর মৃত্যুর কারণে ইদ্দত অবস্থায় না হওয়া (সুরা তালাক : )
হজ বিশুদ্ধ হওয়ার শর্ত : নিম্নোলি্লখিত শর্তগুলো পাওয়া না গেলে হজ আদায় শুদ্ধ হবে না

ইহরাম তথা হজের নিয়ত করা সুতরাং ইহরাম বাঁধা ছাড়া হজ আদায় সহিহ হবে না (বুখারি : )
ইহরামের নিয়ম হলোমিকাত থেকে তালবিয়া পড়ার মাধ্যমে হজের নিয়ত করা পুরুষরা ইহরামের সময় সেলাই করা কাপড় খুলে সেলাইবিহীন কাপড় পরিধান করবে (বুখারি : ১৭০৭)


নারীরা স্বাভাবিক কাপড় পরবে তবে নেকাব বা অন্য কোনো কাপড় চেহারার সঙ্গে লেগে থাকতে পারবে না

তালবিয়া এভাবে পড়বে : 'লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইকলাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইকইন্নাল হামদাওয়ানি্ন'মাতা লাকা ওয়াল মুলকলা শারিকা লাক' (বুখারি : ১৪৪৮)


সময় সুতরাং হজের নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে হজ আদায় সহিহ হবে না (বাকারাহ : ১৯৭)
নির্দিষ্ট স্থান অর্থাৎ আরাফার ময়দানে অবস্থান করাতাওয়াফে জিয়ারত বায়তুল্লাহ শরিফে করারমি মিনাতে করা এবং পশু কোরবানি হারাম শরিফে করা যদি সময়মতো আরাফায় অবস্থান করা না হয় তাহলে হজ সহিহ হবে না (নাসাঈ : ২৯৬৬সুরা হজ : ২৯)



যারা হজ্বে যাচ্ছেন-

হজ্বে যাচ্ছেন, আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করুন, ‘হে আল্লাহ! আমার হজ্বকে সহজ করো, কবুল করো’ - দেখবেন, আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হজ্বের দীর্ঘ সফরে ধৈর্য হারাবেন না। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতা রাখবেন, কোন অবস্থাতেই বিচলিত হবেন না। হজ্বের প্রস্তুতিপর্বে- আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট তৈরি করা, প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা, ম্যানিনজাইটিস টিকা বা অন্যান টিকা বা ভ্যাকসিন দেওয়া (অনেকে দালালের মাধ্যমে ১০০ বা ২০০ টাকায় টিকা দেয়ার সনদ সংগ্রহ করেন, এটা কখনোই করবেন না) - হজ্বের এই সব নিয়ম জানার জন্য একাধিক বই পড়তে পারেন কিংবা যাঁরা পূর্বে হজ্ব পালন করেছেন তাঁদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করুন। হজ্বের কোনো বিসয়ে ভিন্নতা দেখলে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত না হয়ে আপনি যে আলেমের ইল্ম ও তকওয়ার ওপর আস্থা রাখেন তাঁর সমাধান অনুযায়ী আমল করবেন, তবে সে অনুসারে আমল করার জন্য অন্য কাউকে বধ্য করবেন না।

আর অবশ্যই যাত্রার শুরুতেই নিজেকে এমনভাবে তৈরি করে নিন-
  • যেন দেহ-মনে কোন কষ্ট না থাকে। 
  • ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ্ব হলো দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত এবং শ্রমসাধ্য ব্যপার। 
  • আপনার মালপত্র হলকা রাখুন, কারন আপনার মালমাল আপনাকেই বহন করতে হবে। 
  • আপনার সঙ্গীদের সম্মান করুন এবং তাঁদের ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 
  • দলের দূর্বল বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
  • সৌদী আরবে গিয়ে বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজ হারাম শরীফে জামাতে আদায় করার চেষ্টা করবেন।
  • যাত্রার শুরুতেই একজন ভালো সফর সঙ্গী খুঁজে নেবেন, যাতে নামাজ আদায় বা ভ্রমনের বিভিন্ন পর্র্যায়ে একে অন্যেও সহায়তা নিতে পারেন।

এছাড়াও ভাষার প্রতিবন্ধকতা, অচেনা রাস্তাঘাট, ভীড় আর বিরামহীন ব্যস্ততা সত্বেও বরাবরের মতো প্রতি বছরই সৌদী আরব সরকার এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে হাজীদের সুবিধার্থে নানা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে। 

Entry of Mecca Saudi Arabia


মনে রাখবেন-

  • উড্ডয়নের সময় অনুযায়ী অবশ্যই বিমান বন্দরে পৌছাতে হবে।
  • আপনার নাম ঠিকানা লেখা ব্যাগ বা সুটকেসে কোন পচনশীল খাবার বা দ্রব্য রাখবেন না।
  • বিমান বন্দরে আপনার যে সমস্ত মালামাল দিয়েছেন তা ভালোভাবে বাঁধা হয়েছে কি না দেখে নেবেন।
  • বিমান বন্দরে আপনার মালামালের কোন টোকেন দিলে তা অবশ্যই সংরক্ষন করবেন (কারন জেদ্দা বিমান বন্দরে ঐ টেকেন দেখিয়ে আপনার মালামাল ফেরত নিতে হবে)।
  • ইমিগ্রেশন ও চেকিং এর পর নিজ নিজ মালপত্র নিজ দায়িত্বে রাখুন।
  • বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র, পিলগ্রিম পাস, বিমানের টিকেট, টিকার কার্ড, অন্যান্য কাগজপত্র, বিমানে পড়ার জন্য ধর্মীয় বই ইত্যাদি গলায় ঝোলানো ব্যাগে রাখুন।
  • সর্বোপরি যথা সময়ে বিমানে উঠে নির্ধারিত আসনে বসুন।

Jeddah Airport, Saudi Arabia / King Abdulaziz International Airport, Saudi Arabia

জেদ্দা বিমান বন্দর

পৃথীবির সর্ব বৃহত বিমান বন্দরের একটি হলো সৌদী আরবের জেদ্দা বিমান বন্দর, যেখানে প্রায় প্রতি মুহুর্তেই বিমান উড্ডয়ন কিংবা অবতরন করে বিধায় এটি প্রায় সর্বদাই লোকে লোকারণ্য হয়ে থাকে, যে কারনে আপনি সহজেই পথ বা সফর সঙ্গী হারিয়ে ফেলতে পারেন, তাই বিমান বন্দরে নেমে বিচলিত না হয়ে ধৈর্য্য সহকার ইমিগ্রেশন পাস, বোর্ডিং পাস, মালামাল ইত্যাদি সংগ্রহ করে নিন, সম্ভব হলে দলের দুর্বল বা বয়ষ্কদের সাহায্য করুন এবং দলবদ্ধ অবস্থায় থাকুন, কারন এই লোকের ভিড়ে একবার হারিয়ে গেলে পূনরায় একত্রিত হতে আপনাকে বেশ বেগ পেতে হবে।  মোয়াল্লিমের গাড়ি আপনাকে জেদ্দা থেকে মক্কায় যে বাড়িতে আপনি থাকবেন সেখানে পৌছে দেবে। সেখানে পৌছানোর পর আপনাকে মোয়াল্লিমের নম্বর (আরবীতে) লেখা একটি কাব্জি-বেল্ট দেয়া হবে, তা হাতে পরে নেবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের পরিচয়পত্র (পিলগ্রিম পাশ নম্বর, নাম, ট্রাভেল এজেন্টের নাম ইত্যাদি সম্বলিত) গলায় ঝোলাবেন। জেদ্দা থেকে মক্কায় পৌছাতে আনুমানিক দুই ঘন্টার মত সময় লাগে উক্ত সময়ে তালবিয়া পাঠ করুন (লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক...)।

Jeddah Airport, Saudi Arabia / King Abdulaziz International Airport, Saudi Arabia 
  
Jeddah Airport, Saudi Arabia / King Abdulaziz International Airport, Saudi Arabia

After reaching Mecca

মক্কায় পৌছানোর পর -

  • মক্কায় পৌছে আপনার থাকার জায়গায় মালপত্র রেখে ক্লান্ত থাকলে বিশ্রাম করুন আর যদি নামাজের ওয়াক্ত হয় তবে নামাজ আদায় করুন এবং বিশ্রাম শেষে দলবদ্ধভাবে উমরহ্ এর নিয়ত করে থাকলে তা পালন করুন।
  • মসজিদুল হারামের (কাবা শরিফ) অনেকগুলো প্রবেশ পথ রয়েছে যা দেখতে একই রকম কিন্তু প্রতিটি প্রবেশ পথে আরবি এবং ইংরেজী হরফে ১ ২ ৩ ও প্রতিটি প্রবেশ পথের আলাদা নাম রয়েছে, যেমন- ‘বাদশাহ্ আব্দুল আজিজ প্রবেশ পথ’ ইত্যাদি।
  • আপনি আগে থেকেই ঠিক করে নেবেন কোন প্রবেশ পথ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করবেন কিংবা বের হবেন তা আপনার সফর সঙ্গীদেরও জানিয়ে দিন এতে করে আনেক ভিড়ে হাড়িয়ে গেলেও নির্ধারিত স্থানে এসে আপনার সঙ্গীদের খুঁজে পাবেন।
  • মসজিদুল হারামের ভেতর স্যান্ডেল রাখার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন এবং জুতা স্যন্ডেল রাখার নির্দিষ্ট স্থানে রাখবেন, এখানে সেখানে রাখলে আর খুঁজে পাবেন না। জুতা রাখার প্রতিটি র‌্যাকেও নাম্বার দেয়া আছে, তা স্মরন রাখুন।
  • উমরাহ্ এর নিয়মকানুন আগে জেনে নেবেন, যেমন- সাতবার তাওয়াফ করা, জমজমের পানি পান করা, নামাজ আদায় করা, সাঈ করা (অর্থাত সাফা মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো; যদিও মসৃন পথ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত), মাথা মুন্ডন বা চুল ছোট করা ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে সমাপ্ত কারতে হবে এবং ওয়াক্তিয়া নামাজের সময় হলে নামাজ আদায় করে বাঁকি কাজ সম্পন্ন করতে হবে।


Al Masjid Al Haram, Macca/ Macca Sharif, saudi arabia

Necessary Accessories For Travel to Hajj


প্রয়োজনীয় মালপত্র


সঠিক সময়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হজ্ব ব্রত পালনের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র ও সরঞ্জাম সংগ্রহ করা আবশ্যক, যেমনঃ-
১। পাসপোর্ট, টিকেট এবং ডলার সৌদী রিয়েল।
Air ticket, Passport & Saudi Riyal
২। পাসপোর্ট, টিকেট, টাকা কিংবা চশমা ইত্যাদি নিত্য ব্যবহার্য জিনিস রাখার জন্য গলায় ঝোলানো ছোট একটি ব্যাগ।
Small Neck Bag for Hajj

৩। ইহরামের কমপক্ষে দুই সেট (প্রতি সেটে শরীরের নিচের অংশে পরার জন্য আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ এক টুকরো কাপড় এবং গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ সেলাই ছাড়া সাদা কাপড়, সুতি হলে ভালো হয়)।
৪। নরম ফিতা ওয়ালা স্পঞ্জের স্যান্ডেল।
৫। ইহরাম পরার কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হলে কটিবন্ধনী  (বেল্ট)।
৬। গামছা কিংবা তোয়ালে।
৭। লুঙ্গি, গেঞ্জি, পাজামা, পাঞ্জাবী বা আপনি যে পোশাক পরবেন।
৮। সাবান, টুথপেষ্ট, টুথব্রাশ বা মিসওয়াক।
৯। নখ কাটার যন্ত্র, সুঁই-সুতা।
১০। থালা, বাটি এবং গ্লাস।
১১। হজ্বের বই, পবিত্র কোরআন শরিফ এবং ধর্মীয় পুস্তক।
১২। শীতের কাপড়।
১৩। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, চশমা ব্যবহার করলে একাধিক চশমা (ভিড় কিংবা অন্য কোনো কারনে ভেঙ্গে গেলে ব্যবহারের জন্য)।
১৪। কাগজ-কলম।
১৫। বাংলাদেশি টাকা  (দেশে ফেরার পর বিমান বন্দর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য)।
১৬। নারীদের জন্য বোরখা।
১৭। মালামাল নেয়ার জন্য ব্যাগ অথবা সুটকেস (তালাচাবি সহ); ব্যাগে নিজের নাম ঠিকানা ও টেলিফোন নম্বর লিখতে হবে অন্যথায় বিমান বন্দরে অনেক ব্যাগের ভেতর আপনার ব্যাগটি সহজে সনাক্ত করা সম্ভব হবে না।
১৮। উপরে উল্ল্যেখিত মালামাল ছাড়াও যদি আপনার ব্যবহারের প্রয়োজনীয় মালপত্র থেকে থাকে তবে তা এই দূর যাত্রায় সঙ্গে নিতে পারেন যেমন- মোবাইল ফোন, সৌদী আরবে ব্যবহার করা যাবে এমন সীম কার্ড, ম্যাপ ইত্যাদি।ঢাকার উত্তরার আশকোনায় অবস্থিত হাজী ক্যাম্পে টিকা দেয়া, হজের প্রশিক্ষন, বৈদেশীক মুদ্রা কেনা সহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্র পাওয়া যায়।

Such a Hajj things