Ihram

ইহরাম


পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেরে গোসল বা অজু করে নিন।
মিকাত অতিক্রমের আগেই সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরিধান করুন এবং আরেকটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে নিন।
শুধু উমরাহ এর নিয়ত করে এক বা তিন বার তালবিয়া পড়ে নিন-

তালবিয়া হলো-



লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক,
লাব্বাইকা লা-শারীকা লাকা লাব্বাইক,
ইন্নাল হামদা ওয়ান্-নি’মাতা লাকাওয়ালা মূলক
লা-শারীকা লাক্।


প্রথমেই জেনে নিন আপনার গন্তব্য মক্কা না মদিনায়। যদি মদিনায় হয় তবে এখন ইহরাম বাঁধা নয়; যখন মদিনা থেকে মক্কায় যাবেন তখন ইহরাম পড়তে হবে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হজ্বযাত্রীগণ প্রথমে মক্কায় গমন করেন। আর সে কারনে যদি মক্কায় যেতে হয় তাহলে বিমানে ওঠার আগেই ইহরাম বাঁধা ভালো, কারন জেদ্দায় পৌঁছানোর আগেই ইয়ালামলাম ‘মিকাত’ বা ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থান। বিমানের ভেতর যদিও ইহরাম বাঁধার কথা বলা হয়, কিন্তু ওই সময় অনেকে ঘুমিয়ে থাকেন; আর বিমানে পোষাক পরিবর্তনও দৃষ্টিকটু। 

হজ্ব বা উমরাহ পালনকারী ব্যক্তির জন্য বিনা ইহরামে যে স্থান অতিক্রম করা জায়েজ নয় তাই হলো মিকাত। বিনা ইহরামে মিকাত পার হলে দম বা কাফফারা দিতে হয়, তদুপরি গুনাহও হবে। ইহরাম ছাড়া মিকাত অতিক্রম নিষিদ্ধ। সুতরাং বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘরের সম্মানার্থে প্রত্যেককে নিজ নিজ মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধতে হয়।


মক্কায় আগত হজ্ব ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মিকাত হলো পাঁচটি-

১. যুল হুলায়ফা বা বী’রে আলী (মদিনা বাসীর মক্কায় প্রবেশের মিকাত)
২. ইয়ালামলাম (দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার দেশ থেকে জেদ্দা হয়ে মক্কায় প্রবেশের মিকাত)
৩. আল-যুহফা (মিশর, সিরিয়া এবং সেই দিক হতে আগতদের জন্য মিকাত)
৪. কারনুল মানাজিল বা আসসায়েল আল-কাবির (নাজদ থেকে আগতদের জন্য মিকাত)
৫. যাতু ইরক (ইরাক থেকে আগতদের জন্য মিকাত) 


ইহরাম বাঁধা অবস্থায় যে সকল কাজ সম্পূর্ন নিষিদ্ধ-

১. সহবাস এবং ওই বিষয়ে কোন আলোচনা করা যাবে না।
২. পুরুষদের জন্য শরীরের আকৃতি নেয়, এমন কোন সেলাই করা জামা, পায়জামা ইত্যাদি পরিধান কারা বৈধ নয়।
৩. কথা ও কাজে কাউকে কষ্ট দেয়া যাবে না।
৪. পুরুষদের ক্ষেত্রে মাথা বা মুখ ঢাকা যাবে না; এমনকি টুপিও পড়া যাবে না।
৫. মহিলাদের মাথায় আবশ্যই কাপড় রাখতে হবে; তবে মুখমন্ডল স্পর্শ করে এমন কাপড় পড়বেন না।
৬. নখ, চুল, দাড়ি-গোঁফ এমন কি শরীরের একটি পশমও কাটা বা ছেঁড়া যাবে না।
৭. কোন প্রকারের সুগন্ধীই ব্যবহার করা যাবে না।
৮. কোন ধরনের শিকার বা জীব (ক্ষতিকর জীব ব্যতিত) হত্যা করা যাবে না।

No comments:

Post a Comment